আগামী ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় হয় এ সিদ্ধান্ত।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। আগামী ১০ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়।
৩১ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৈঠকে বসেন। সভায় ১০ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন করার বিষয়ে সবাই একমত হন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ৭ মে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন।
গেল ১০ মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ এবং দুই সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ওই বছরের জুলাইয়ে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি তাদের ভারমুক্ত করে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিন বছরের বেশি সময় তারা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে রয়েছেন।
ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আনন্দ মিছিল করে সম্মেলনপ্রত্যাশী ও তাদের অনুসারীরা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও নতুন সম্মেলনের তারিখ আসায় আমরা আনন্দিত এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
মাহফুজা ৪-১১