ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের –এলপিজি দাম আবার বাড়লো। ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম যা ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা,এখন নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫১ টাকা।
বুধবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। নতুন দাম ২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হয়।
১২ কেজি পর্যায়ে ৫১ টাকা বেড়েছে এবং কেজি প্রতি বেড়েছে ৪ টাকা ২৫ পয়সা। নভেম্বর মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ টাকা ২৬ পয়সা, যা অক্টোবর মাসে ছিল ১০১ টাকা ১ পয়সা, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা।
অক্টোবর মাসে এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১২০০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। তার আগের মাসে যা ছিল ১২৩৫ টাকা।
বিইআরসি জানায়, অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে সরকারি এলপিজির দাম। বেসরকারি খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০৪ টাকা ২৬ পয়সা এবং এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির দাম আগে ছিল ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা,যার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা।
তবে বাসা-বাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের এলপিজির দাম প্রায় একই আছে। রেটিকুলেটেড এলপিজি গ্যাসীয় অবস্থায় প্রতি লিটারের দাম অক্টোবরে দাম ছিল শূন্য দশমিক ২১ টাকা, এবার তা শূন্য দশমিক ২২ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, নভেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৬১০ মার্কিন ডলার এবং ৬১০ মার্কিন ডলার। প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬১০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় এই দাম নির্ধারণ করেছে কমিশন।
কমিশনের নির্ধারিত দামে বাজারে এলপিজি বিক্রি হয় না বলে সম্মেলনে অভিযোগ করা হলে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ না পেলে এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে পারি না। কমিশনের আইনেও এটা করা যায় না।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য আ ব ম ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মো. কামরুজ্জামান ।
মাহফুজা ৩-১১