ইকুয়েডরে কারাবন্দীদের স্থানান্তরের সময় বিস্ফোরণে মারা গেছেন পাঁচ পুলিশ সদস্য । স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ঘটেএ হামলার ঘটনা । এ ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো দুটি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
প্রেসিডেন্ট ল্যাসো এক ভিডিও বার্তায় বলেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দুটি শহরে নয়টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মঙ্গলবার ভোরে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণার মতো ছিল সন্ত্রাসীদের আক্রমণ ।গতরাত থেকে আজকের মধ্যে গুয়াকিল ও এসমেরালদাসে যা ঘটেছে তাতে ট্রান্স-ন্যাশনাল সংগঠিত অপরাধীচক্র সীমানা অতিক্রম করছে। তার সরকারের কঠোর পদক্ষেপের জন্য এ হামলা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি গুয়াস ও এসমেরালদাস প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান জোরদার করা হবে এবং রাত ৯টা থেকে কারফিউ থাকবে ।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়াকিলের বেশ কয়েকটি এলাকায় ছয়টি বিস্ফোরণের খবর পায় । শহরতলিতে একটি টহল গাড়িতে হামলায় দুই পুলিশ সদস্য মারা যান। দেশটির পুলিশ জানায়, একই দিনে আরও ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তামারা গেছেন । এসমেরালদাসে তিনটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে এবংকারাগারের সাত কর্মকর্তাকে জিম্মি করা হয় বন্দী স্থানান্তরের প্রতিবাদে । কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, পরে সমঝোতার মাধ্যমে ওই সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে মুক্ত করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ব্যক্তিগত সফর ল্যাসো এই হামলার কারণে বাতিল করেন।
ইকুয়েডরের কারাগার ২০২০ সালের শেষের দিকে সহিংসতা বেড়েছে এবং কমপক্ষে চারশ মানুষ মারা গেছে।ইকুয়েডরের গুয়াকিলের পেনিটেনসিয়ারিয়া থেকে এখন পর্যন্ত ৫১৫ বন্দীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এই স্থানান্তরের লক্ষ্য হচ্ছে কারাগারে বন্দীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মাহফুজা ২-১১