আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের আগেই জানাতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেয়া জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এতে সভাপতিত্ব করেন । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া-আসার সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সড়কপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা নির্বিঘ্নে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক দিয়ে নিরাপদেফিরতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সব জায়গায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে ।
এছাড়া ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় তোরণ নির্মাণ সীমিত রাখা ও ওভারহেড তোরণ নির্মাণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সজ্জিত করা হবে। মেট্রোপলিটন এলাকা, জেলা সদর উপজেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এছাড়া মহান বিজয় দিবসের দিন জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে উন্নত মানের খাবার দেয়া হবে।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানসহ প্রয়োজনীয় স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স, উদ্ধার সরঞ্জাম ও অগ্নি নির্বাপণ গাড়ি থাকবে।
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে বিজয় দিবস উদযাপনে নেওয়া হবে।বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম এবং সারাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে অনুষ্ঠানস্থলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ করা হয় এবং মাস্ক পরে অনুষ্ঠানে যেতে হবে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের আইজি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মাহফুজা ১-১১