লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ত্যাগ করলেন। ২০১৬ সালে আউন দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও বৈরুত বিস্ফোরণের মতো সংকটের মধ্যেই লেবাননকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যেকোনো বিলে সই করে সেটিকে আইনে পরিণত করার ও নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার ক্ষমতা রয়েছে প্রেসিডেন্টের।প্রেসিডেন্ট কোনো দলকে সরকার গঠনের অনুমতিও দেন ।
এখন পর্যন্ত আউনের উত্তরসূরী নির্ধারণের বিষয়ে একমত হতে পারেনি লেবাননের পার্লামেন্ট বলে জানায় রয়টার্স ।
রোববার তিনি রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দেশটির অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা আমার নেই।
২০১৬ সালে মিশেল আউন হিজবুল্লাহ ও এটির প্রতিপক্ষ ম্যারোনাইট খ্রিষ্টান গোষ্ঠীর রাজনীতিক সামির গেগা’র সঙ্গে সুন্নি নেতা সাদ আল-হারিরিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনার চুক্তিসাপেক্ষে ক্ষমতায় আসেন ।
আউন ২০১৭ সালে দেশটির সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর সহায়তায় সিরিয়া সীমান্তে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং ২০১৮ সালে লেবাননের পার্লামেন্টে নতুন একটি নির্বাচনী আইন পাস করানো হয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ সপ্তাহে আউন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইসরায়েলের সঙ্গে সমুদ্রচুক্তিতে সই করেন। যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেননি তিনি।
বৈরুত সমুদ্রবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২২০ জন নিহতের ঘটনায় আউনের প্রশাসনকে প্রত্যক্ষভাবে দায়ী করা হয়।
১৯৭৫-১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধে লেবানন আর্মির কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আউন।
মাহফুজা ৩০-১০