ভারতে দীর্ঘ ২২ বছর পর শুরু হযেছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশের সর্বত্র কংগ্রেস দপ্তরে আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আজ সকাল ১১টায় দিল্লির ২৪ আকবর রোডে দলের সদর দপ্তরে এসে ভোট দেন। একই সঙ্গে ভোট দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এখানে ভোট দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মোট ৭৫ জন প্রতিনিধি এখানে ভোট দেবেন।
সোমবার দিল্লিতে দলের সদর দপ্তর ছাড়াও ভারতে ৩৬টি পোলিং স্টেশনের ৬৭টি বুথে কংগ্রেস প্রতিনিধিরা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসূদন মিস্ত্রি জানিয়েছেন, ভোটারকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারবেন না। নির্বাচন কমিটির দাবি, এতে ভোটদানে স্বচ্ছতা থাকবে। আগামী বুধবার ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে ।
৯ হাজারের কিছু বেশি প্রতিনিধি গোপন ব্যালটে ঠিক করবেন, দলের সভাপতি হিসেবে তাঁরা কাকে বেছে নেবেন। লড়াই ৮০ বছর বয়সী মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে ৬৬ বছরের শশী থারুরের। যিনিই জিতুন, দীর্ঘ ২৪ বছর পর তিনিই হবেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায় এ নির্বাচনে অবশেষে মুখোমুখি হচ্ছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর। গান্ধী পরিবার এই প্রথম সভাপতি নির্বাচন থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভোট দেবেন।
আজ ভোট শেষ হওয়ার পর সব ভোট বাক্স ‘সিল’ করে দেওয়া হবে। কাল মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ভোট বাক্সগুলো দিল্লিতে আনা হবে। ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেস সদর দপ্তরে ভোট গণনা শুরু হবে আগামী বুধবার। তার আগে সব ভোট বাক্স থেকে ব্যালট বের করে মিশিয়ে দেওয়া হবে, যাতে কে কাকে ভোট দিয়েছেন, তা গোপন থাকে।
২০০০ সালে জিতেন্দ্র প্রসাদকে হারিয়ে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তার ছেলে রাহুল গান্ধী এরপর বিনা ভোটে কংগ্রেসের সভাপতি হন। কিন্তু ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট লোকসভা ভোটে পরাজয়ের কারণে রাহুল ইস্তফা দেন এবং এ কারণে সোনিয়াকেই আবার দায়িত্ব নিতে হয়। দলীয় নেতারা অনুরোধ করলেও গান্ধী পরিবারের সদস্যরা কেউই ভোটে দাঁড়াননি।
নির্বাচন উপলক্ষে আজ ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে।
মাহফুজা ১৭-১০