তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের একটি কয়লার খনিতে বিস্ফোরণে মারা গেছেন ২৫ জন । ভেতরে আটকা পড়েছেন কয়েক ডজন শ্রমিক। তাদের জীবিত উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
শনিবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার বার্তিন প্রদেশের আমাসরা শহরে অবস্থিত কয়লার খনিতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বার্তিন প্রদেশের গভর্নর নুরতাক আর্সলান ভোরে জানান , বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৬ জন খনিশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়।
বিস্ফোরণের সময় প্রায় ৩০০ লোক কাজ করছিলো ওই কয়লাখনিতে এবং তাদের অবস্থান ছিলো ভূগর্ভের প্রায় ৩০০ মিটার নিচে। কিছু শ্রমিক মাটির ৩৫০ মিটার গভীরে এবং ৪৪ জন ৩০০ মিটার গভীর আরেকটি স্থানে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বিস্ফোরণের পরপরই উদ্ধারকর্মীরারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে তারা কাজ করছে। দুর্ঘটনার পর নিখোঁজদের স্বজনরা সেখানে ভিড় করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায় যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। সেখানে সারিবদ্ধভাবে একাধিক অ্যাম্বুলেন্সও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সৌলু জানান, ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
তুরস্কের ম্যাডেন ইজ খনি শ্রমিক ইউনিয়ন এ বিস্ফোরণের জন্য মিথেন গ্যাসকে দায়ী করেছে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনো আসেনি বলে জানান সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, তিনি সব কর্মসূচি বাতিল করে শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন। আমরা আশা করছি, প্রাণহানি আর বাড়বে না, খনি শ্রমিকদের জীবিত পাওয়া যাবে।
২০১৪ সালে তুরস্কে সবচেয়ে প্রাণঘাতী খনি দুর্ঘটনা ঘটেছিল । দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোমায় একটি খনিতে বিস্ফোরণে ৩০১ জন শ্রমিক মারা যান।
মাহফুজা ১৫-১০