এবার গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করতে হবে, এ লড়াইয়ে মরবো না হয় জিতবো বলে জানালেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।
বুধবার বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিএনপি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি , নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করে।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। এ বছর শহীদ হন ছাত্রদলের নুর আলমসহ আরও অনেকে। আমরা যদি জয়লাভ করতে পারি তবে দেশের স্বাধীনতা থাকবে, আর যদি না পারি তাহলে স্বাধীনতা থাকবে না। আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ১৫১ জনকে এমপি করেছিলেন এবং ২০১৮ সালে রাতের আঁধারে সব ভোটের বাক্স ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, সব নিত্যপণ্যের মূল্য এখন ৪-৫ গুণ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। পানি-গ্যাস-বিদ্যুৎ সব কিছুর দাম বেশি। এ দাম বাড়ানোর পেছনে কারণ একটাই জনগণের পকেট থেকে তারা বিদেশে টাকা পাচার করে।দিন-দুপুরে মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দাবি হলো যত মিথ্যা মামলা আছে সব প্রত্যাহার করতে হবে এবং অবিলম্বে তাদের ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দান থেকে যে আন্দোলন শুরু হলো, এখান থেকে সারা দেশে তা ছড়িয়ে পড়বে। সমাবেশ শুরুর আগেই পুরো মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়। অনেকেই আশপাশের সড়ক ও বাসাবাড়ির ছাদেও জমায়েত হয়েছেন। বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
রাজধানী ঢাকার ১৬টি জোনে সমাবেশের পর আজ থেকে চট্টগ্রামের মধ্যদিয়ে বিএনপির চলমান আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি শুরু হলো।
২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি দেশের নয় এলাকায় গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে। যার প্রথমটি হলো আজ। আর শেষ সমাবেশটি হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর। ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে এবং যেটিকে ‘মহাসমাবেশ’ হিসেবে ঘোষণা দেয় দলটি।
ঘোষিত এই কর্মসূচির অন্য সমাবেশগুলোর মধ্যে আগামী ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনায়, ২৯ অক্টোবর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে, ১৯ নভেম্বর সিলেটে, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায়, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ।
মাহফুজা ১২-১১