নির্বাচন কমিশন অনিয়ম, কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে তিনি এবং অন্য নির্বাচন কমিশনাররা ভোটকেন্দ্রে আইন লঙ্ঘন হতে দেখেছেন। নির্বাচন কমিশন তবে এ ‘আইন লঙ্ঘন’ করে অনিয়ম ও জালিয়াতিতে কারা জড়িত, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি ।, ‘কাদের কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন বন্ধ করতে হয়েছে, তা নিয়ে এখনো আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথা জানান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন ভোটে ইভিএম কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনি। প্রিজাইডিং অফিসার ও অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল ভোটকেন্দ্র।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষণ কক্ষ করেছি। ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করেছি এবং আমরা ভোটকেন্দ্র থেকে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি।’
সিইসি আরো বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে লক্ষ করেছি, ভোটগ্রহণে অনিয়ম হচ্ছে এবং অনেক কেন্দ্রে আমরা গোপন ভোটকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ দেখেছি। অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোটারদের ভোট দিতে সহায়তা করছেন অথবা বাধ্য করছেন। পোলিং এজেন্ট তাদের গায়ের গেঞ্জিতে নির্বাচনের প্রতীক ছাপানো ছিল, যা নির্বাচন আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি। তিনি আরও বলেন, আমরা সকাল ৮টা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা কেউ কক্ষ ত্যাগ করিনি। ৪৩ কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিয়ে সাড়ে ১২টায় পর্যবেক্ষণ কক্ষ থেকে বের হয়েছি। কতগুলো কেন্দ্রে সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয় এর ফলে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছিলাম না।’
‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ৫১ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধের পর আইন-কানুন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে আরপিওর ৯১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ওই নির্বাচনী আসনে পুনরায় তফসিল হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা আইন ও বিধি বিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো এবং যে সিদ্ধান্ত হবে, সেটা জানিয়ে দেয়া হবে।’
সিইসির নির্বাচন বন্ধের ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া একযোগে বাকি চার প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া । তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
মাহফুজা ১২-১১