বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বললেন এ মাসটা কষ্ট করতে হবে। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকার জ্বালানি তেলের সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তালিকা করে লোডশেডিং দিচ্ছিল । গেল কয়েকদিনে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। লোডশেডিং হচ্ছে সারা দিন ও রাতে যেকোন সময়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তো তেলের পাওয়ার প্ল্যান্ট ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে পারি না এবং তেলের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর ওপর লোড পড়ছে। এ কারণে দিনের বেলায় কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা হচ্ছে,কোনটা রাতের বেলায় । এজন্য লোডশেডিংয়ের জায়গাটা একটু বড় হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, অক্টোবর থেকে লোডশেডিং থাকবেই না। কারণ, আমরা গ্যাস আনতে পারিনিএবং ফের গ্যাস বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতে গ্যাস বন্ধ । আমরা এখন ইন্ডাস্ট্রিতে দিচ্ছি আর এ কারণেই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, সবাই একটু ধৈর্য ধরেন। এই এক/দু মাস হয়তো কষ্ট করতে হবে। আশা করছি সামনের মাস থেকে আমরা লোডশেডিং কমিয়ে আনার টচষ্টা করব।
আমাদের এখন টার্গেট হলো ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাস দেওয়া। এজন্য আমরা একটু ডাইভার্ট করেছি। রপ্তানিমুখী শিল্পে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। সার কারখানায় গ্যাস দিতে হচ্ছে। নভেম্বর থেকে কী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমি আশা করছি। আমরা বিদ্যুতে গ্যাস কমিয়ে দিয়েছি এবং আর তাতে কমিয়ে দেওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে।
মাহফুজা ১০-১০