জন্মের পরই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার বিধান রেখে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২২’ এর খসড়া শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দিলো মন্ত্রিসভা। এ আইন অনুযায়ী এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে চলে যাবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ‘২০১০ সালের আইন অনুযায়ী, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছে ছিল। এখন এটা সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে। আগের আইনে ধারা আছে ৩২টি । নতুন আইনে ধারা কমিয়ে ১৫টি করা হয়েছে। নতুন আইনটি আগের আইনের কাছাকাছি রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কাজ ভোটার আইডি নিয়ে শুরু হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে এটা এনআইডি হিসেবে রূপান্তর করা হয়। তখন বেসিক কনসেপ্ট ছিল নির্বাচন সংক্রান্ত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন এনআইডিকে রূপান্তর হলো তখন এটার সঙ্গে অন্যান্য কর্মসূচি যোগ করে দেয়া হলো।
এনআইডি কারা পাবেন- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনটা হওয়ার পর ‘জন্মের সাথে সাথেই এনআইডি হয়ে যাবে। এক মাস লাগবে এটা মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আসতে আইনটি।’
আগামী নির্বাচনের আগে আইনটি চূড়ান্ত হবে কিনা- জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করবে। কার্যক্রম কীভাবে শেষ করা হবে, সেজন্য আইনের অধীনে পরবর্তী সময়ে বিধি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাহফুজা ১০-১০