পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের হার হলেও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জিতে দেখিয়ে দিল তারা।
দুইদিন বিরতি ছিল, প্রথম দিন অনুশীলনই বাতিল হয়। আর অধিনায়ক নিগার সুলতানা ম্যাচের আগের দিন আসেননি । অভিষিক্ত ফারিহা তৃষ্ণার হ্যাটট্রিক কিংবা রুমানা আহমেদের তিন বলে দুই উইকেটে হেরে যায় মালয় মেয়েরা।
বাংলাদেশ টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১২৯ রান করে। মালয়েশিয়া রান করতে নেমে মাত্র ৪১ রানে অলআউট হয় । বাংলাদেশ ৮ ৮ রানে হারিয়ে বড় জয় পায়।
মালয়েশিয়ান ব্যাটসম্যানরা ব্যাট হাতে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি । এই ম্যাচেই লাল সবুজের ক্যাপ পাওয়া ফারিহা তৃষ্ণার অভিষেক হয়, তাও হ্যাটট্রিক করে।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ইনসুইংয়ে অধিনায়ক উইনফ্রেড দুরাইসিংগামকে (৫) বোল্ড করে । পরের দুই বলে ফেরান মাস এলিসা ও মাহিরা ইজ্জাতিকে। এই বাঁহাতি পেসার অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেন । এর আগে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন ফাহিমা খাতুন।
তৃষ্ণার আঘাতে ১৩ রানে তিন উইকেট হারানো মালয়েশিয়া পরে করতে পারে মাত্র ২৮ রান। ১৬তম ওভারের প্রথম ৩ বলে রুমানা ফেরান নূর আরিয়ান্না (৯) ও নূর হায়াতিকে (০)। দুই ওভারে তৃষ্ণা-রুমানা মিলে নেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তৃষ্ণা। ২টি করে উইকেট নেন ফাহিমা-সানজিদা-রুমানা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি । মুর্শিদা খাতুন এগোতে থাকেন ফারজানা হককে নিয়ে। তবে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি ফারজানা।
এরপর সিলেটে নান্দনিক সব শটে দ্যুতি ছড়ান মুর্শিদা-জ্যোতি। দুজনেই ফিফটি করে দলকে এনে দেন জয়ের কাছে। দুজনেরই ক্যারিয়ারের এটি তৃতীয় ফিফটি। মুর্শিদা একপাশ সামলে কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করেন। তার ফিফটি আসে ৪৭ বলে এবং আউট হন ৫৪ বলে ৫৬ রানে।
জ্যোতি খেলেন ঝড়ো ইনিংস। মাত্র ৩২ বলে ফিফটি হাঁকান এবং আউট হন ৫৩ রানে। তার হাতে উঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। শেষদিকে রানআউট হন ফাহিমা।
মালয়েশিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন শাসা আজমি, মাহিরা ও উইনফ্রেড।
মাহফুজা ৬-১০