কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান ও জোবায়ের হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড আদালত মঞ্জুর করেছেন ।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুমন আলি শুনানি শেষে দেন এ আদেশ। ২৯ সেপ্টেম্বর ওই দুই শিক্ষককে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহার আলী।
প্রধান আসামি নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আজ জেল হাজতে পাঠানো হয়।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী। ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ এ ঘটনায় বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, সহকারী শিক্ষক আমিনুল রহমান র, জোবায়ের হোসেন, সোহেল রানা, হামিদুর রহমান, অফিস সহায়ক সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এখনো পলাতক রয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ ।
মামলার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর দিলরুবা আহমেদ জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলার প্রধান আসামি লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেদিনই দুই আসামি সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান ও জোবায়ের হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আজ শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানার তদন্ত কর্মকর্তা আজাহার আলী জানান, প্রধান আসামি লুৎফর রহমানের কাছ থেকে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
মাহফুজা ২-১০