মাথায় ইট দিয়ে আঘাতের কারণে যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার -এসপি মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন। যুবদলকর্মীদের ছোড়া ইটে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান শাওন। ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টেও গুলির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনে নিহত শাওনের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের নিয়ে তিনি একথা বলেন।
২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে পুরাতন ফেরিঘাটে সদর উপজেলা বিএনপি ও মুন্সিগঞ্জ পৌর বিএনপি নেতাকর্মীরা অবৈধ অনির্ধারিত সমাবেশ ও ঝটিকা মিছিল বের করে। মুক্তারপুরে দলীয় কোন্দলের কারণে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি বলে জানায় এসপি মাহফুজুর রহমান । এমন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা মারমুখী হয়ে ওঠে। পরে বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ইটের আঘাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), সদর থানার ওসিসহ অন্তত ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের রাবার কার্তুজ ও গ্যাসশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ৩-৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ২৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই দিনের ঘটনায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করাসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশ ও পাবলিক বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিহত সাওনের মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করে। ফরেনসিক বিভাগ নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ করে চূড়ান্ত মতামত দিতে ভিসেরা পরীক্ষা করে। তাতে মাথায় আঘাতজনিত কারণেই মৃত্যু হয়। নিহত সাওনের মাথার পেছনে থেঁতলানো আঘাত রয়েছে এবং গান শুটের কোনো আঘাত নেই বলে তাতে উল্লেখ করা হয়।
যুবদলকর্মী সাওন বিএনপির অপর এক কর্মীর পেছন থেকে ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে আহত হন। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
যদিওনিহত শাওন এর স্বজনদের দাবী পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন সে।
মাহফুজা ২৮-৯