বাংলাদেশ আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে । বাংলাদেশের নারীরা এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হলো ।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে রোববার রাতে টস জিতে টাইগ্রেসরা আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান সংগ্রহ করে । জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই আইরিশ মেয়েরা পিছিয়ে পড়তে থাকে । ব্যাট হাতে আয়ারল্যান্ডের আরলিনে কেলি অপরাজিত ২৮ রান করেন। এছাড়া ম্যারি ওয়ার্ল্ডন ১৯, এইমেয়ার রিচার্ডসন ১৮, কারা মারি ১৩ ও অধিনায়ক লরা ডিলানি ১২ রান করেন।
বাংলাদেশে রুমানা আহমেদ ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন সানজিদা আক্তার , নাহিদা আক্তার ও সোহেলি আক্তার।
তার আগে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে প্রথম ও ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলার মেয়েরা । ফারাজানা হক ও রুমানা আহমেদ এরপর দলের হাল ধরেন। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজন ৪৯ রান তোলেন।
১৬ ওভারের শেষ বলে দলীয় ৯৬ রানের মাথায় রুমানা ২০ বলে ২ চারে ২১ রান করে আউট হন। ফারজানাও পরের ওভারে দলীয় ১০১ রানের মাথায় ফেরেন । ৫৫ বল খেলে ৭ চারে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুত ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৯৬ থেকে ১২০ রানে যেতে উইকেট হারায় ৬টি । ফারাজানা ও রুমানা ছাড়া বাকিদের রান ছিল ৬,৬,৬,৯,৪,০,৩। সব মিলিয়ে বাউন্ডারি হয় ১০টি।
আয়ারল্যান্ডের লরা ডিলানি ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। কারা মুরারি ২১ রান দিয়ে ২টি ও আরলিনে কেলি ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
সালমা-রুমানারা আজ জিতে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই বিশ্বকাপে গেল ।২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলার মেয়েরা। বিশ্বকাপে ২০১৪ সালে স্বাগতিক হিসেবে ও ২০১৫ সালে বাছাইপর্বে রানার্স-আপ হয়ে খেলেছিল ।
মাহফুজা ২৬-৯