পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে শুনানি শেষে মামলার আবেদন খারিজ করে দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত ।
মিতু হত্যার আসামি বাবুল আক্তার আটকে রেখে নির্যাতন ও ফেনী কারাগারে কক্ষ তল্লাশির অভিযোগ এনে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন। আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বাবুল আক্তারের পক্ষে আদালতে মামলার আবেদন করেন
পিবিআই ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এরপর থেকে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন।
মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫ (১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়- ২০২১ সালের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সময়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা অফিসে নির্যাতন করা হয় বাবুল আক্তারের ওপর। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য বাবুলের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবী।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সেসময়কার এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং পরে মিতুর বাবা বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মাহফুজা ২৫-৯