নাটোরের নলডাঙ্গার পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের মারধরে আহত ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলিম জীবন মারা গেছেন।
শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জামিউল রামশার কাজিপুর এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানি বলেন, ‘সোমবার জীবনকে ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । অবস্থার অবনতি হলে এরপর তাকে আইসিইউতে নেয়া হয় এবং সেখানেই আজ দুপুরে মারা যান তিনি।’
নাটোর-২আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জীবন আজ নয়, মঙ্গলবার মারা গেছে । চেয়ারম্যান আসাদকে বাঁচাতে তাকে মৃত ঘোষণা না করে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।’জেলা আওয়ামী লীগ আসাদকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক জামিউল আলিম জীবন সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের নানা অনিয়ম নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন । এর জেরে ওই দিন সন্ধ্যায় রামশাকাজিপুর আমতলী বাজারে জীবনকে ডেকে নিয়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার দুই ভাই ও তাদের সহযোগীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয়ায় জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেনকেও পেটানো হয়। পরে আহত অবস্থায় জীবন ও তার বাবাকে নাটোর সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেনকে পরদিন ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায়জীবনকে আইসিইউতে রাখা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার বড় ভাই ফয়সাল শাহ ফটিক ও অপর ভাই আলিম আল রাজি শাহের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এ ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ পলাতক রয়েছেন ।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং যে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থায় আছে পুলিশ।
মাহফুজা ২৩-৯