মিয়ানমার এর উসকানিতে বাংলাদেশ পা দেবে না বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম। মঙ্গলবার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মিয়ানমার ইস্যুতে ঢাকায় দায়িত্বরত বিদেশি মিশন, দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের ব্রিফের জন্য আমন্ত্রণ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে চীনের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সকাল ১০টায় এশিয়ান বহির্ভূত দেশ ও মিশনের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বৈঠক শুরু হয়।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম ও সাউথ ইস্ট এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক নাজমুল হুদা এতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন । সীমান্তে মিয়ানমারের হঠকারিতা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সম্পর্কে জানাতে এ বৈঠক রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে করা হয়। রোহিঙ্গাদের না ফিরিয়ে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায় মিয়ানমার বলেও অভিযোগ করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।
কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে মিয়ানমারের আচরণ সম্পর্কে । তাদের কিছু করণীয় থাকলে সেটা করতে বলা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। কোনোভাবেই স্থিতিশীলতা নষ্ট হোক এটা ঢাকা চায় না বলেজানান খোরশেদ আলম ।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশের আশ্রয়ে রয়েছে দেশটির এমন অভিযোগ নাকচ করে দেন । তিনি জানান, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই এবং অন্য কোনো দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বাংলাদেশ কখনও তাদের ভূখণ্ড কোনো গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে দেয় না।
বৈঠক শেষে দুপুর ১২টার দিকে রাষ্ট্রদূতরা পদ্মা ছাড়তে শুরু করেন। সাড়ে ১২টায় বৈঠকের বিষয় নিয়ে ব্রিফ করেন খোরশেদ আলম।
সোমবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের চলমান উত্তেজনা পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় অবস্থিত আসিয়ানের মিশন প্রধানদের জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।আসিয়ানের দূতরা বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের উদ্বেগের বিষয়টি তাদের নিজ নিজ দেশের সরকারকে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সোমবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে মিয়ানমার। দেশটি এই ঘটনার জন্য আরাকান আর্মি এবং রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার ওপর দায় চাপায়।
মাহফুজা ২০-৯