রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ শেষবারের মতো উইন্ডসর প্রাসাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওয়েলিংটন আর্চে আনুষ্ঠানিকতা শেষে রানির কফিন রাষ্ট্রীয় শবযানে তোলা হয় । গ্রেনেডিয়ের গার্ড বাহিনীর সদস্যরা রানির কফিন তুলে দেন ওই শবযানে । এরপর উইন্ডসর প্রাসাদের দিকে রওয়ানা দেয় গাড়িটি। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় এটি উইন্ডসরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। রানির শেষযাত্রা দেখতে রাস্তার দুপাশে ভিড় করেছেন হাজার হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকেই উইন্ডসর প্রাসাদের দিকে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে শুরু করে জনতা। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টায় রানির মরদেহ নিয়ে দিনের শুরু হয় প্রথম শোকযাত্রা। ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে রানির কফিন রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যানুষ্ঠানের জন্য ধীরে ধীরে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রানির কফিন ভবনের ভেতরে উঁচু বেদির সামনে একটি প্লাটফর্মের ওপর রাখা হয় । ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারনেস স্কটল্যান্ডএর আগে রানির জন্য ধর্মগ্রন্থ থেকে বাণী পাঠ করে শোনান ।
এরপর রানির কফিন নিয়ে উইন্ডসরের পথে শুরু হয় শোকমিছিল। মিছিলের পেছনের একটি গাড়িতে যাচ্ছেন কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা এবং প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথারিন। তাদের সামনে রয়েছেন রাজা চার্লস এবং রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। তারা কফিনের পেছনে পেছনে হাঁটছেন। ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল এবং কাউন্টেস অব ওয়েসেক্স সোফিদ্বিতীয় একটি গাড়িতে করে যাচ্ছেন ।
শোকমিছিলের একেবারে সামনে রয়েছে রাজকীয় ক্যানাডীয় মাউন্টেড পুলিশের দল। আর রানির কফিনের দু’পাশে রয়েছে কফিন বহনকারীদের দল ও দেহরক্ষীরা।
মাহফুজা ১৯-৯