স্থানীয় প্রশাসন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে বসবাসকারী ৩০০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার চিন্তা করছে ।
রোববার রাতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সীমান্তের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সকালে নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলা পরিষদে প্রশাসনের এক অনুষ্ঠিত হয় জরুরি বৈঠক ।
‘স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়াসহ বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো জানানো হবে বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস । ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ প্রশাসনের বৈঠকে ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে এবং তাদের নিরাপদ রাখতে যা করণীয় সবই করা হবে বলে জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, ইউপি সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা ২টি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু’র উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম এলাকায় দুটি গোলা পড়ে এবং ৯ সেপ্টেম্বর একে ৪৭ এর গুলি এসে পড়ে। এতে চরম ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে ।
মাহফুজা ১৮-৯