বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৬৫ নিয়ে ঢাকা ৩১তম স্থানে রয়েছে। শুক্রবার ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে।
৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘মধ্যম’ বলা হয়। তবে কিছু মানুষের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয় যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
দুবাই, তাইওয়ানের কাওশিউং এবং পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে ১৫৬, ১৫৩ এবং ১৪১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়। যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য তৈরি করে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)। ঢাকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার কারণে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যানসার হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, সারা বিশ্বে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন । বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ।
মাহফুজা ১৬-৯