বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড -বাপেক্স সিলেটের বিয়ানীবাজারে গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত এক নম্বর কূপের পুনরায় খননকাজ শুরু করেছে । শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ানিবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কুপে পুনঃখননের কাজ উদ্বোধন করেন বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ জানায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়ার্ক ওভার শেষ করে এই কূপের উপরের স্তর থেকে ৭ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। দুই নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন সাত থেকে সাড়ে সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাসখানেকের মধ্যেই এ কূপের পুনঃখনননের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এরপর থেকে উৎপাদন শুরু করা যাবে। আমদের ধারণা কূপটি থেকে প্রতিদিন পাঁচ-সাত মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাওয়া যাবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের -এসজিএফএল আওতায় পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডস রয়েছে। এগুলো হলো- হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে ১২টি কূপ থেকে।
বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের এক নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় এবং ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় গ্যাস উত্তোলন। ২০১৬ সালে ফের উত্তোলন শুরু হলেও বছরের শেষদিকে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সাল থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালায় সাম্প্রতিক সময়ে বাপেক্স । তাতে দেখা যায়, কূপে এখনো গ্যাস মজুত রয়েছে এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে খননকাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশনের -বাপেক্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, এই গ্যাসের মার্কেটিং করে জালালাবাদ গ্যাস। আগামী ২০২৩ সালে জকিগঞ্জ ২ ও ৩ নম্বর কূপ খনন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০২৩ সালের মধ্যে আরো ৩ টি কূপ খনন ও ৪ টি কূপ ওয়ার্কওভার শুরু করবে সিলেট গ্যাস ফিল্ড। এসব কাজ শেষ হলে এ অঞ্চল থেকে দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।’
মাহফুজা ১০-৯