১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কঁচা নদীর উপর নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন

    আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের কঁচা নদীর উপর নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করবেন । এর মধ্য দিয়ে আরো একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ।

    পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান জানান, ৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধনের সম্মতি জানান এবং উদ্বোধনের পরপরই তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

    অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু কাউখালীর বেকুটিয়া ও পিরোজপুরের কুমিরমারা পয়েন্টে কঁচা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয় । এই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে। সেতু নির্মাণ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেতু দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের দুই বিভাগকে এক করে দিয়েছে। সেতুটি চালু হলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরকে সরাসরি সড়ক পথে সংযুক্ত করা যাবে। সড়ক পথে এ দুই অঞ্চলের ১৬টি জেলার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও যাতায়াতের সুযোগ তৈরি হবে।

    পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগজানায় , ৯টি স্প্যান ও ১০টি পিলার বিশিষ্ট ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছিল প্রায় ৮৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি চীন এবং ২৪৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার দিয়েছেন। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ ডাবল লেনের সৈতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। সেতুটি কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া অংশ ও পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা অংশকে যুক্ত করেছে।

    সেতুটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাসুদুর রহমান সুমন জানান, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেকুটিয়া পয়েন্টে এ সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ‘চায়না রেলওয়ে ১৭তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায়  ‘চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ রিকোনিসেন্স ডিজাউন ইনস্টিটিউট’ সেতুটি নির্মাণ করে।

    গেল ৭ আগস্ট চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর উপস্থিতিতে ঢাকায় চীনের দূতাবাসের ইকনোমি মিনিস্টার বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিবের কাছে সেতুটি হস্তান্তরের দলিলে সই করেন  আনুষ্ঠানিকভাবে।

    সেতুটি খুলে দিলে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা জেলার সঙ্গে যশোর ও খুলনার দূরত্ব এক ঘণ্টারও বেশি কমে যাবে।

    ম্হফুজা ২-৯

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর