যশোরের শার্শার বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামসুর রহমানকে বোমা মেরে হত্যা মামলায় আদালত ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন । তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
রোববার ২৮ আগস্ট যশোরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।২৯ বছর পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষে রায় ঘোষণা হলো।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বেনাপোলের গাতিপাড়া গ্রামের ফজলে করিমের ছেলে রাইটার, রবিউল ইসলামের ছেলে মশিয়ার , দৌলতপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে আজগর, ভারতের ২৪পরগনার ভরতপুর গ্রামের কারজেল মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তার, জিয়ালা গ্রামের কালিপদ সরকারের ছেলে সাধন, বাগদাহ থানার আমডোব গ্রামের মৃত আনু বিশ্বাসের ছেলে ইয়াকুব ।
যশোর বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১৯৯৩ সালের ৫ মে সন্ধ্যায় শামসুর রহমান মেম্বার বাড়ির বাংলো ঘরে বসে লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। রাত পৌনে ৮টায় আসামিরা তাকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের ছেলে গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে । এ মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন ।
দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
বিচারক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি টিটু মিয়াকে খালাস দেন। সাজাপ্রাপ্ত মধ্যে রাইটার বাদে সব আসামি পলাতক।
মাহফুজা ২৯