সিলেটের সাধারণ চা শ্রমিকরা নতুন মজুরি নির্ধারণের পর শ্রমিকনেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও বেঁকে বসেছেন। ২০০ টাকা দৈনিক মজুরি না দিলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। শনিবার ২০ আগস্ট বিকেলে ঘোষণার পর সহস্রাধিক শ্রমিক সিলেট বিমানবন্দর সড়কে বিক্ষোভ করেন।
শনিবার ২০ আগস্ট দুপুরে শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী ও মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। অপরদিকে, শ্রমিকনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেণ পাল ও বিভিন্ন ভ্যালির শীর্ষ নেতারা।
বৈঠক শেষে চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেণ পাল জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয়েছে শ্রমিকদের মজুরি। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শেষে চা শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। এই আশ্বাসে তারা আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন এবং রোববার থেকে সব বাগানে শ্রমিকরা যোগ দেবেন কাজে।
সাধারণ চা শ্রমিকরা নেতাদের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি । বৈঠকের পরপরই শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তরের সামনেই বিক্ষোভ করেন তারা। সিলেটের মালনিছড়া, হিলুয়াছড়া ও তারাপুর চা বাগানের শ্রমিকরাও এ সিদ্ধান্তকে বয়কট করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে চা শ্রমিকরা বিকেলে মালনিছড়া বাগানের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
চা শ্রমিক ফেডারেশনের সংগঠক অজিত রায় বলেন, ‘কমপক্ষে ২০০ টাকা দৈনিক মজুরি ছাড়া মানব না এবং আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছি। আমরা সন্ধ্যার পর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসে সার্বিক বিষয়ে জানানো হবে।’
এমআরএস ২০
