পটুয়াখালীঃ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আজ (১৯ আগস্ট ২০২২) সকালে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এটি স্থল ভাগে অগ্রসর হলে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার থেকেই পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো আবহাওয়া বিরাজ করছে। আজ শুক্রবারও তা অব্যাহত আছে। এ কারণে পটুয়াখালী মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। যানবাহনও কম দেখা গেছে সড়কে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন শ্রমজীবীরা।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোঃ রাহাত হোসেন বলেন, লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে আজ নিম্ন চাপে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে ধমকা হাওয়া ও থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পটুয়াখালীতে সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬ দশমিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এতে পটুয়াখালীর পায়রাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা বন্দরসমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর (পুন:) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের সর্ব্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি. যা দমকা/ ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
এতে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে নিম্নচাপ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সমুহের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০২-০৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে গ্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।