পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুলিশ শাম্মী আক্তার নামে এক বিউটিশিয়ান নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে । এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে সাইম আলম বাদী হয়ে মামি ও সৎ বাবাকে আসামি করে সোমবার ৮ আগস্ট রাতে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় নিহত শাম্মীর ভাইয়ের স্ত্রী আয়শা খানম ও শাম্মীর বর্তমান স্বামী সিরাজুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, শাম্মী আক্তার কে এম লতীফ সুপার মার্কেটে ১০ বছর ধরে পার্লারের ব্যবসা করে আসছিলেন। তার পার্লারের নাম ‘শাম্মী বিউটি পার্লার’। প্রথম স্বামী ফিরাজ এর সঙ্গে প্রায় ১৩ বছর আগে বিচ্ছেদ হওয়ার পর দুই সন্তান নিয়ে থানা পাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। দুই বছর আগে বিয়ে হওয়া দ্বিতীয় স্বামী সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। ৭ আগস্ট বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে বাসায় আসেন তিনি। এদিন আয়শা খানমও আসেন। রাতে শাম্মী আক্তার স্বামী সালেকিনকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরেন। কিন্তু শাম্মী গভীর রাতে তার স্বামী ও আয়েশাকে আপত্তিকর অবস্থায় বিছানায় দেখে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্বামী সালেকিন আয়শার সহযোগিতায় মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে শাম্মীকে হত্যা করেন।
সাইম বলেন, হত্যার দায় এড়াতে পরের দিন সকালে সালেকিন ও আয়শা মিলে তার মায়ের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তারা হত্যার ঘটনাকে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন হার্ট অ্যাটাক বলে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা. নূরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরই সালেকিন ও আয়শাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে হত্যা মামলায় তাদের দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যায় ব্যবহৃত বালিশটি জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার ৯ আগস্ট দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মাহফুজা ১০-৮