২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

     নয় বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডে সিরিজও হারলো বাংলাদেশ

    স্পোর্টস ডেস্ক : তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।এ জয়ের মধ্য দিয়ে ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল আফ্রিকার দেশটি। হারারেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নয় উইকেটে ২৯০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সর্বোচ্চ ৮০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া  তামিম ইকবাল  ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫ তম হাফসেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফেরেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ৪৯ রানে  চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন সেকান্দার রাজা ও অধিনায়ক রেগিস চাকাভা ।দুই জনই সেঞ্চুরি করেন। চাকাভা একশ’দুই রানে আউট হলেও সেকান্দার রাজা একশ’১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

    একা এক সিকান্দার রাজার কাছেই হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্য উপহার দিয়েছেন তিনি। বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে হারান তিনি। তার সঙ্গে সেঞ্চুরির করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রেগিস চাকাভাও।

    ২০১৩ সালের পর ওয়ানডেতে আর কখনো জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০১৩ সালেও জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে এসেছিল টাইগাররা। এরপর টানা ৫টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। অবশেষে ৯ বছর পর এসে আবারও সিরিজ জিততে সক্ষম হলো জিম্বাবুইয়ানরা।

    ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা ফর্মে রয়েছেন সম্ভবত অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ১৩৫ রান করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও করলেন ১১৭ রান। ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানে ৩ উইকেট এবং ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর রেগিস চাকাভাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের দিকে নিয়ে যান তিনি।

     

    অধিনায়ক রেগিস চাকাভাকে নিয়ে গড়েন ২০১ রানের বিশাল জুটি। এই জুটিটিই বাংলাদেশকে পরাজয় উপহার দিলো। ৭৫ বলে ১০২ রান করে আউট হন অধিনায়ক চাকাভা। ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা।

    শুধু ব্যাট হাতেই নয়, এর আগে বল হাতেও বিধ্বংসী ছিলেন রাজা। ১০ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাসকিনের উইকেট নেন তিনি।

    প্রথম ম্যাচের চেয়ে ১৩ রান কম করেছে বাংলাদেশ। অথচ, প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রান করেও জিততে পারেনি টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে করেছে ২৯০ রান। আজও জিম্বাবুইয়ানদের জোড়া সেঞ্চুরির কাছে হারতে হলো বাংলাদেশকে।

    যদিও ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ এবং স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।

    এই দুই বোলারের তোপের মুখে ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিকরা। হাসান মাহমুদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়া।

    ইনিংসের প্রথম ওভারেই টি কাইতানোকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন হাসান মাহমুদ। ১ রানে পড়ে এক উইকেট। দলীয় ১৩ রানেও একইভাবে ইনোসেন্ট কাইয়াকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন মুশফিক।

    ওয়েসলি মাধভিরে উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি। ১৬ বল খেলেছেন। কিন্তু ২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হলেন।

    টানা তিন উইকেট পড়লেও অন্যপ্রান্তে অপর ওপেনার তাদিওয়ানাশে মুরুমানি উইকেট আগলে রেখেছিলেন। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ২১ রানের উটি জুটিও গড়েন তিনি। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের বলে পরবির্তিত ফিল্ডার মোহাম্মদ নাইম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৪২ বলে করেন ২৫ রান। চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ৪৯ রানে।

     

    ২০১ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। ৭৫ বলে ১০২ রান করে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। এরপর ১৬ বলে ৩০ রান করে সিকান্দার রাজার কাজটা সহজ করে দেন টনি মুনিয়ঙ্গা।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর