আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার –সিআইএ ড্রোন হামলায় আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি মারা গেছেন। সোমবার ১ আগস্ট টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জাওয়াহিরির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গেল রোববার ওই হামলা চালানো হয় ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, মার্কিন নাগরিকদের ওপর হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতা চালিয়েছেন জাওয়াহিরি। মৃত্যু হয়েছে এই সন্ত্রাসী নেতার ।
মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস নিউজ জানায় তিনটি সূত্র আল-কায়েদা নেতার হত্যার খবর নিশ্চিত করেছে। সংবাদ মাধ্যম গুলো হল নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং সিএনএন ।
হামলার সময় আল–কায়েদার এই নেতা কাবুলে একটি বাড়ির ব্যালকনিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ড্রোন থেকে তাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র । এতে জাওয়াহিরির মারা যান । ওই বাড়িতে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও থাকলেও হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ।
আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন ২০১১ সালে পাকিস্তানে অভিযানে । ওসামা বিন লাদেন মারা যাওয়ার পর পর আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
জাওয়াহিরি ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ওসামা বিন লাদেন বেঁচে থাকা অবস্থায় জাওয়াহিরিকে গণ্য করা হতো আল-কায়েদার দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে । শল্যচিকিৎসক ছিলেন জাওয়াহিরি এবং তাকে আল-কায়েদার তাত্ত্বিক গুরুও বলে মনে করা হয়।
জাওয়াহিরি ছিলেন ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী । তাকে ধরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কারও ।
মাহফুজা ২-৮