১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    বঙ্গোপসাগরে আবারো সক্রিয় জলদস্যু, লুটপাট করছে জেলেদের মাছ

    ন্যাশনাল ডেস্ক :বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। কিন্তু জেলেরা গভীর সাগরে নিরাপদে মাছ ধরতে পারছেনা বলে অভিযোগ করেছে মৎস ব্যবসায়ীরা।বেশ কয়েক বছর বঙ্গোপ সাগরে নিরাপদে মাছ ধরেছেন জেলেরা। কিন্তু এ বছর মৌসুমের শুরুতেই জেলেদের ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডাকারা জেলেদের মাছ লুটের পাশাপাশি জেলেদের মারধরে করে থাকে। অনেক সময় ট্রলার ডুবিয়ে দিচ্ছে ডাকাতরা।

    এরই মধ্যে  বঙ্গোসাগরে ২৬ টি মাছধরা ট্রলারে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। এসময় ৯ জেলেসহ ‘এফবি ভাই ভাই’ নামের একটি ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে ডাকাতদল। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোনাচর সংলগ্ন গভীর সাগরের ছয়বাম (৬০ নটিক্যামাইল) এলাকায় এঘটনা ঘটে।

    শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা।

    জানা গেছে, ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারের এক জেলেকে উদ্ধার করেছে ‘মা বাবার দোয়া’ নামের অপর একটি ট্রলার। বাকি ৮ জেলে অন্য একটি ট্রলারে আশ্রয় নিয়েছেন।

    ডুবিয়ে দেওয়া ‘এফবি ভাই ভাই’ ট্রলারের জেলে মহিপুরের নিজামপুর গ্রামের ছালাম মিয়া বলেন, ‘২২ থেকে ২৩ সদস্যের একটি ডাকাতদল বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আমাদের ট্রলারে হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতরা ট্রলারে থাকা মাছসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাদের ট্রলারটি ডুবিয়ে দেয়। এসময় তারা আরো কয়েকটি ট্রলারে ডাকাতি করে। পরে মা বাবার দোয়া নামের ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে। কিন্তু এর আগে ডাকাতরা ওই ট্রলারেরও সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’

    এফবি মা বাবার দোয়া ট্রলারের মালিক মহিপুরের নিজামপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘আমার ট্রলারে ১৫ জন স্টাফ ছিলো। ডাকাতদল সবাইকে মারধর করেছে। সব মালামাল নিয়ে গেছে।’

    ওই ট্রলারের মাঝি জিয়া মিয়া বলেন, ‘ডাকাতদল ট্রলারে উঠেই আমাদের মারধর করতে শুরু করে। আমাদের ট্রলারের সব মালামাল নিয়ে গেছে। কোনমতে জানটা নিয়ে ফেরত এসেছি।’

    মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ‘গভীর সাগরে ডাকাতদল ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে ২ টি রাঙ্গাবালির চরমোন্তাজের, ৩ টি মহিপুরের ও বাকিগুলো বিভিন্ন এলাকার।’

    নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. আরিফ বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘এঘটনা আমার এরিয়ার মধ্যে না।’পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর