১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    দেশে পৌঁছেছে ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ

    ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ।   সকাল পৌনে ৯টার দিকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসে।

    সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। সেখানে সকাল সাড়ে ১০টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম নির্ধারিত সকাল সাড়ে ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় শুরু হবে।

    ডেপুটি স্পিকারের একান্ত সচিব মো. আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে বেলা ১২টার দিকে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া ডেপুটি স্পিকারের গ্রামে বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটায়।

    দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তার মরদেহ পৌঁছাবে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া কাজী আজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এরপর সেখান থেকে তার মরদেহ নেওয়া হবে ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ। ওই মাঠেই বিকাল ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি গটিয়া গ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে বিকাল সাড়ে ৫টায় আরেকটি জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে

    যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে গত ২২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।

    ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়জার রহমান এবং মায়ের নাম হামিদুন নেছা।

    ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করলে তার বিরোধিতার আন্দোলনে নেমে প্রথম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ফজলে রাব্বী মিয়া। তখন তিনি কেবল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।

    ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।

    ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    এর আগে ২০২০ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদ্য প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান।

    প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর