২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    বিশ্বের ডজনখানেক দেশ ঋণখেলাপির ঝুঁকিতে, নেই বাংলাদেশের নাম

    উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রথাগত ঋণ সংকট, মুদ্রার মান কমে যাওয়া, বন্ডের সম্প্রসারণ ও বৈদেশিক মুদ্রার তলানির কারণে নানা  সমস্যার জর্জরিত। । ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছে শ্রীলঙ্কা, লেবানন, রাশিয়া, সুরিনাম ও জাম্বিয়া । বেলারুশও এরই মধ্যে খেলাপি হওয়ার পথে। তাছাড়া বিশ্বের ডজনখানেক দেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। সুদের হার বাড়ানোসহ উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি রয়েছে মন্দার আশঙ্কাও।

    বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অনেক দেশ ঋণ এড়াতে পারে যদি বিশ্ববাজার শান্ত হয় ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সহায়তার হাত প্রসারিত করে।

    আর্জেন্টিনা

    আর্জেন্টিনা যেকোনো সময় ঋণখেলাপিতে নাম লেখাতে পারে। নিজস্ব মুদ্রা পেসো  কালোবাজারে প্রায় ৫০ শতাংশ ছাড়ে কেনাবেচা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা কমেছে মারাত্মকভাবেএবং  বন্ডের অবস্থাও খারাপ। ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিষেবার জন্য সরকারের কোনো উল্লেখযোগ্য ঋণও নেই।

     

    ইউক্রেন

    ইউক্রেন ২০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ এখনও পনর্গঠন করতে হবে। সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার বন্ড পেমেন্ট বাকি থাকে। তবে বিভিন্ন দেশের অর্থসহায়তা ও রিজার্ভের কারণে দেশটি বেঁচে যেতে পারে।

    তিউনিশিয়া

    তিউনিশিয়া সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এবং  বাজেটের ১০ শতাংশই ঘাটতি আছে। প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া।  তিউনিশিয়ান বন্ডের মূল্য বেড়েছে দুই হাজার ৮০০ পয়েন্টভিত্তিতে। প্রিমিয়াম বিনিয়োগকারীরা মার্কিন বন্ডের পরিবর্তে এটি কিনতে চায়। তিউনিশিয়াও মরগান স্ট্যানলির সম্ভাব্য খেলাপিদের শীর্ষ তিনটি তালিকায় রয়েছে।

    ঘানা

    ঘানার জিডিপির বিপরীতে ঋণের অনুপাত ৮৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ বছরের দেশটির মুদ্রার মূল্য কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। সুদ পরিশোধ করতে দেশটির অর্ধেকের বেশি রাজস্ব ব্যয় হয় । তাছাড়া প্রায় ৩০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ।

    মিশর

    মিশরের ঋণ টু জিডিপির অনুপাত প্রায় ৯৫ শতাংশ। মিশরকে ২০২৪ সালের তিন দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারের বন্ডসহ পরবর্তী পাঁচ বছরে পরিশোধ করতে হবে একশ বিলিয়ন ডলার। এদিকে দেশটির ১৫ শতাংশ। মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ।

    কেনিয়া

    কেনিয়াও  মোট রাজস্ব আয়ের ৩০ শতাংশ ব্যয় করে সুদ পরিশোধে। এর বন্ডগুলো প্রায় অর্ধেক মূল্য হারিয়েছে।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তান চলতি সপ্তাহে আইএমএফের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে। উচ্চ আমদানি মূল্য দেশটিকে অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সংকটের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটি মোট রাজস্বের ৪০ শতাংশ সুদ দিতে ব্যয় করে।

    তাছাড়া ইথুপিয়া, এল সালভাদার, বেলারুশ, ইকুয়েডর ও নাইজেরিয়ারও রয়েছে চরম ঝুঁকিতে । দেশগুলো যেকোনো সময় ঋণখেলাপিতে পরিণত হতে পারে। এসব দেশের হাতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা নেই। তবে এ তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম।

    মাহফুজা ১৬-৭

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর