ডেস্ক রিপোর্ট : পবিত্র ঈদুল আযহার বাকি আর মাত্র একদিন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছাড়ছে উত্তরবঙ্গের মানুষ। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারের পাশাপাশি কম খরচে ট্রাক ও পিকআপে করে বাড়ি ফিরছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কাঁঠালতলা, মুলিবাড়ি, কড্ডার মোড়, নলকা সেতু, পাঁচলিয়া বাজার ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সড়ক দুর্ঘটনা, টোল আদায় বন্ধ ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল একেবারেই থমকে গেছে। উত্তরবঙ্গগামী লেনে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় থেকে মির্জাপুরের পাকুল্লা পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেলে মহাসড়কের এলেঙ্গা, পৌলী, রাবনা, আশেকপুর ও ভাতকুড়া এলাকা ঘুড়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
পুলিশ বলছে, মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বাসে সিট না পেয়ে অনেকে ট্রাকে বাড়ি যাচ্ছেন। যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে ঘুড়কা, সাহেবগঞ্জ ও চান্দাইকোনা এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও যানজট নেই।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, ‘সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গগামী লেনে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতুর গোল চত্বর থেকে সব পয়েন্টেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘হাটিকুমরুল গোলচত্বর পার হবার পর বগুড়াগামী লেনটিতে কিছু গাড়ি উল্টোপথে চালানোর কারণে কিছুটা ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে ওই রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতোয়ার রহমান বলেন, প্রচার যানবাহনের চাপে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের সেতু পূর্ব থেকে আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত কোথাও থেমে আবার কোথাও ধীরগতি গণপরিবহন চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।