পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭ জুলাই সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও বুধবার রাতেই পৌঁছে যান হাজিরা মিনার তাঁবুতে। হজযাত্রীরা বুধবার এশার পর থেকে মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় রওয়ানা হন। হজযাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় সৌদি মুয়ালিমরা আগের রাত থেকেই তাঁবুর শহর মিনায় নেওয়া শুরু করেন হজযাত্রীদের।
মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের সূচনা হয়, যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর ছোঁড়ার মধ্য দিয়ে। অন্যান্য দেশের হাজিদের সঙ্গে এবার রওয়ানা হন মিনার পথে বাংলাদেশের ৫৬ হাজার হাজিও। এ সময় গুঞ্জরিত হয় তালবিয়া-‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নালহামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক।’
আরাফাতে হযরত মুহম্মদ (সা.) শেষ খুতবা বা চূড়ান্ত উপদেশ দিয়েছিলেন, যা বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা এই আরাফাত ময়দানে হবে ।
সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়েছেন নানা উদ্যোগ । হজযাত্রীদের থাকার জন্য পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় ২৩টি হাসপাতাল এবং ১৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে মিনায় হজযাত্রীদের চিকিৎসার জন্য। নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজনে রোগীদের জন্য ১০০০টিরও বেশি শয্যা রয়েছে এবং বিশেষত হিটস্ট্রোক রোগীদের জন্য রয়েছে ২০০টিরও বেশি শয্যা ।
১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ শেষ করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কুরবানি, পুরুষদের মাথার চুল ফেলে দেয়া এবং তাওয়াফে জিয়ারত। হাজিরা এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন । পরে কাবা শরিফকে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা হজের ।
হজ পালনে মক্কায় সমবেত হয়েছেন করোনার টিকাপ্রাপ্ত ১০ লাখ মুসলিম । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন ৮ লাখ ৫০ হাজার । সৌদি আরবের নাগরিক বাকিরা সবাই।
মাহফুজা ৭-৭
