সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে রেলিং নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ বাকি রেখেই সিরাজগঞ্জের নব-নির্মিত নলকা সেতুর উভয় লেন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার ঈদ যাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে সেতু কর্তৃপক্ষের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবু সাদ, মীর আখতার লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার এখলাস উদ্দিন, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানের উপস্থিতিতে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
এতদিন উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের ২২ জেলার মানুষের গলার কাটা ছিলো পুরানো নলকা সেতু। ১৯৮৮ সালে নলকা এলাকায় ফুলজোড় নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ হওয়ার পর এ সেতুর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় এর ওপর দিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে থাকে যানবাহন। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটিকে ঘিরে প্রতি বছর ঈদযাত্রায় পুরো মহাসড়কে ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রীদের। পরে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক)-২ প্রকল্পের আওতায় নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
নলকা সেতু নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘ঈদযাত্রার জন্য সেতুর উভয় লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। এখনো বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই কাজগুলো শেষ করার পর সেতুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।’
২৮৯ মিটার দৈর্ঘের এই নলকা সেতুটির ওপর রেলিং নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি। এমন অবস্থায় ঈদ উল ফিতরে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সেতুর উত্তরের একটি লেন খুলে দেওয়া হয়। ঈদুল আযহা উপলক্ষে সেতুর দ্বিতীয় লেনটিও খুলে দেওয়া হলো।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঝুঁকিপুর্ণ নলকা সেতুটি উত্তর-দক্ষিঞ্চলের যাত্রাপথে গলার কাঁটার মতো ছিল। এ সেতুটিকে ঘিরেই প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হতো যানজট, দুর্ঘটনা আর দুর্ভোগ। এ সেতুটিকে নিয়েই আমরা সব সময় চিন্তায় থাকতাম। এ স্থানে নব-নির্মিত সেতুর উভয় লেন চালুর কারণে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবেন উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ভোগান্তিও দূর হলো।’
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, ‘ঈদ যাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষেরা নিরাপদে চলাচল করার জন্য জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা পুলিশ মিলে ৫৬৭ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সকাল ৬টা থেকে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। আমরা গত ঈদের মতো যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা করেছি।‘