হঠাৎ করে ছাত্রকে বলাৎকারের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। আসলে কি মানুষের কি কুৎসিত চেহারার বহিপ্রকাশ হচ্ছে। না আগেও এমন ঘটনা ঘটতো কিন্তু মানুষ জানতো না। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পত্র পত্রিকায় আসার কারনে মানুষ জানছে। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে সিলেটের ওসমানীনগরের নুরপুর হাফিজিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায়। অভিযোগ মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদির হিফজ বিভাগের এক আবাসিক ছাত্রকে বলাৎকার করেন। ১১ বছরের ওই শিশু বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা মাদ্রাসা কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে শিশুটিকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মাদ্রাসা কমিটি স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে রোববার সালিশ ডাকে। সালিশে তাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয় ও শিশুটির চিকিৎসার খরচের জন্য ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আপ্তাব আলী বলেন, ‘সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুচলেকা নিয়ে আব্দুল কাদিরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সালিশের পর তিনি মাদ্রাসা ছেড়ে চলে গেছেন।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আব্দুল কাদিরকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।কয়েকজন শিক্ষকের অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘রোববার রাতে বলাৎকারের খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠাই। সেখানে ওই শিক্ষক বা ছাত্র কাউকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।আব্দুল কাদিরের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লন্তীর মাটি গ্রামে।