বুরকিনা ফাসোয় বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়। দেশটির সরকারের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন যে, উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে হামলা চালায় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
স্থানীয় সময় শনিবার ও রোববার সেনো প্রদেশে এ হামলা চালানো হয়। দেশটির সীমান্তবর্তী এসব এলাকায় সম্প্রতি হামলা বেড়েে গেছে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অঞ্চলে আল-কায়েদা ও আইএসও সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গছে।
সোমবার (১৩ জুন) দেশটির সরকারের মুখপাত্র লিওনেল বিলগো জানান, ‘শনিবার রাতে সেতেঙ্গা গ্রামে হামলার পর সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ৫০ টি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
তবে মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন ওই হামলায়। অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সূত্র জানায়, ১৬৫ জন নিহত হয়েছে এ ঘটনায়।
জাতিসংঘ এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।
গত সপ্তাহেও এই গ্রামে সরকারি বাহিনী ও সশস্ত্র বিদো্রহীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে সংঘর্ষে ১১ জন পুলিশ ও ৪০ জন বিদো্রহী গোষ্ঠীর সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
সরকারের মুখপাত্র বিলগো বলেছেন, সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার কারণে এই রক্তপাত ঘটানো হয়েছে।
ওই অঞ্চলে কাজ করা মানবিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হামলা-সংঘর্ষের জেরে গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা প্রায় তিন হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী শহরে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা