ফাইজারের টিকা কার্যকর ও নিরাপদ ৬ মাস থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য করোনা প্রতিরোধে । যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের –এফডিএ জানায় এ তথ্য ।
সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে যে গতকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত নথির ব্রিফিংয়ে এফডিএ পর্যালোচকরা এসব তথ্য দেন ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি ৬ মাস থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের করোনা টিকা ব্যবহারের পর । সংস্থার বাইরের উপদেষ্টাদের সঙ্গে এফডিএ’র একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, আগামী ১৫ জুন। এর আগেই প্রকাশিত হলো ফাইজারের ট্রায়ালের তথ্যের বিষয়ে এফডিএ’র বিশ্লেষণ । এখন ভ্যাকসিনের বিষয়ে এফডিএ’র সিদ্ধান্ত নির্ধারণ হবে, বহিরাগত উপদেষ্টাদের সুপারিশে।
এফডিএ কর্মীদের পর্যালোচনার তথ্য জানা যায়, ফাইজার-বায়োএনটেকের ৩ ডোজের প্রাথমিক সিরিজের ভ্যাকসিন ৬ মাস থেকে ৪ বছর বয়সীদের শিশুদের মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করা যায়নি ভ্যাকসিন ব্যবহারের পর ।
১০ জন করোনার উপসর্গযুক্ত রোগীর শরীরে এ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর । এ টিকার কার্যকারিতা প্রাথমিক বিশ্লেষণে ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের করোনা টিকা দেওয়ার বিষয়ে ।
যদি সিডিসি ফাইজারের এ ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় তাহলে ২১ জুনের মধ্যে বাচচাদের টিকা দেয়া শুরু করা যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসন । ৬ বছরের কমবয়সী শিশুদের মধ্যে টিকার প্রি-অর্ডার কম কিন্তু অনুমোদন পেলে চাহিদা বাড়বে ভ্যাকসিন এ আশা সংশ্লিষ্টদের।
গেল শুক্রবার এফডিএ মডার্নার করোনা টিকার একটি স্টাফ পর্যালোচনা প্রকাশ করে । তাদের টিকা ৬ মাস থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর বলা হয় ।
মাহফুজা ১৩