স্পোর্টস ডোস্ক :‘হ্যাঁ অনেক হয়েছে। এবার বাড়ি ফিরে এসো। আমরা তোমাকে মিস করছি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভাবেই লিখেছেন লিওনেল মেসির স্ত্রী রোকুজ্জো।
আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির আলঅদা পরিচয় হলো ঘরমুখো মানুষ হিসেবে। খেলার বাইরের সময়টুকু পরিবারকেই দিয়ে থাকেন মেসি।
কিন্তু এবার পরিবারকে দূরে রেখেই মেসিকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে দুইটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। আর সে দুই ম্যাচ শেষ হতেই পরিবারের ডাক এসেছে মেসির কাছে, বাড়ি ফিরে যাওয়ার। যে ডাক উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই মেসির সামনে।
রোববার রাতে এস্তোনিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের পাঁচটি গোল একাই করেছেন মেসি। এর আগে ফাইনালিসিমায় ইতালির বিপক্ষে আলবিসেলেস্তেদের জয় ছিল ৩-০ গোলে। সেদিন গোল না পেলেও জোড়া অ্যাসিস্টে মেসিই জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এ দুই ম্যাচের একটিতেও মেসির পরিবার তার সঙ্গে ছিল না। তাই তো এস্তোনিয়ার বিপক্ষে নামার আগে তিন সন্তান ও স্ত্রী আন্তোলেনা রোকুজ্জোর সঙ্গে একটি ছবি আপলোড করে মেসি লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে মিস করি রোকুজ্জো, আমি ওদেরকে (সন্তানদের) মিস করি।’
সেই ছবির মন্তব্যের ঘরে রোকুজ্জো লিখেছিলেন, ‘আমরাও তোমাকে অনেক মিস করি।’ সেই মিস করার মাত্রা যেনো না বাড়ে, তাই এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ না হতেই মেসিকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন রোকুজ্জো। সেটিও মেসির পোস্টের মন্তব্যের ঘরে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো একই ম্যাচে পাঁচ গোল করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেন মেসি। যেখানে ক্যাপশনে বলা হয়, বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেশ ভালো প্রস্তুতি হলো আর্জেন্টিনার।
সেই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে মেসির স্ত্রী রোকুজ্জো লিখেছেন, ‘হ্যাঁ অনেক হয়েছে। এবার বাড়ি ফিরে এসো। আমরা তোমাকে মিস করছি।’ তবে এটি যে আদেশের বদলে ভালোবাসামাখা ডাক তা বোঝাতে নিজের মন্তব্যের সঙ্গে চোখে হৃদয়ের ইমোজিও দিয়েছেন রোকুজ্জো। তার এই মন্তব্যেও লাইক পড়েছে প্রায় ৪৫ হাজার। এর মধ্য দিয়ে পুরোপুরি বোঝা যায় মেসি কতটা পারিবারিক। খেলার বাইরে স্ত্রী সন্তানকেই বেশি সময় দিয়ে থাকেন। অপর খেলোয়াড়দের মত নেই স্ত্রী ছাড়া অপর কোন বান্ধবী।