২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    সংঘাতে বিশ্ব অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে-প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যুদ্ধ, সংঘাতে বিশ্ব অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না, কোনো যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক সেটাই আমাদের কাম্য।”

    আজ রোববার (২৯ মে) সকালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বক্তব‌্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের মতো মহামারি অতিক্রম করতে করতে আবার একটি যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। যা আজ সারাবিশ্বের অর্থনীতির ওপর একটা বিরাট প্রভাব ফেলেছে।

    প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে যুক্ত ছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিতদের সঙ্গেও ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন।বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির পর জাতিসংঘে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি জাতির পিতার সেই ভাষণে ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ জানিয়ে বলেন, ‘এই নীতি তিনি ঘোষণা করেছিলেন।  যে নীতি এখনও আমরা মেনে চলি।’

    তিনি বলেন, প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার অগ্রযাত্রার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় অপশক্তিসমূহ নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। ফলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক ও জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে এই নতুন চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় আমরা আমাদের শান্তিরক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি দিয়ে প্রস্তুত করে তুলছি

    পিপল পিস প্রগ্রেস দ্য পাওয়ার অব পার্টনারশিপ’ ২০২২ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও জোরালো ভূমিকা বাংলাদেশ পালন করবে আশাবাদ ব‌্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর তরুণ সদস্যরা ২১ শতকের বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫১৯ জন নারী শান্তিরক্ষী বিশ্বশান্তি রক্ষার কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।  আমি জেনে আনন্দিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী তাদের নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে চলেছে। তাছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব নিজেই বিশেষভাবে বলেছেন, তিনি আরও বেশি সংখ্যক নারী সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে চান। আমি বলেছি, আমরা সবসময় প্রস্তুত।

    তিনি বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীরা ৪৩টি দেশে ৫৫টি মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পূর্ণ করেছেন। বর্তমানে ১৩টি মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের বেশকিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিভিন্ন মিশনে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার এবং সেক্টর কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    শান্তিরক্ষী সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য সহযোগী শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে সংঘাতপূর্ণ দেশগুলোতে শান্তি ফিরে নিয়ে আপনারা ওসব দেশের জনগণের অকুন্ঠ ভালোবাসা আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছেন। কারণ আমাদের শান্তিরক্ষীদের একটা বিশেষ গুণাবলি হলো শুধুমাত্র শান্তি রক্ষার দায়িত্বই পালন করেন না, তার সঙ্গে অনেক সামাজিক দায়িত্বও পালন করেন। তাই শিশু নারী থেকে সর্বস্তরের মানুষের একটা বিশ্বাস আস্থা আপনারা অর্জন করেন।

    এ পর্যন্ত ১৬১ জন আমাদের শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত দুজন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। তাই তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে দুই শহীদ শান্তিরক্ষী পরিবারসহ ১৪জন আহতদের পরিবারে সদস্যদের সম্মাননা জানানো হয়েছে।

    ‘সবসময় মনে রাখবেন, যেকোনো দায়িত্ব পালনে আত্মবিশ্বাসটা সব থেকে বড়। কাজেই সকলেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। তাহলেই আপনারা সফল হবেন। জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রয়োজন হলে আমরা আরও সমসংখ্যক শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত। সেটুকু জাতিসংঘকে বলতে পারি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর