সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যে যেখানে পারছে সেখানে দিয়ে বসে আছে । এসব ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিকে নেই বিধি মোতাবেক কোন চিকিৎসক। চিকিৎসার নামে করা হয় প্রতারনা। পরীক্ষার নামে জাল জালিয়াতির শেষ নেই।
এ বিষয় অবশেষে টনক নড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। তাই সারা দেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষর করেছেন সাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মনিটরিং এবং সুপারভিশন নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে ভার্চুয়ালি এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়েছে কিন্তু নবায়ন করেনি। তাদের নবায়ন করতে একটি সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে নিবন্ধন করতে না পারলে সব কার্যক্রম স্থগিত করা হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে তাদের দ্রুত নিবন্ধন দিতে হবে। নিবন্ধন হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না।