স্পোর্টস ডেস্ক :ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনটাও নিজেদের করে নিলেন শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দাপট দেখিয়ে দিন শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০৭ রানের লীড নিয়েছে লঙ্কানরা। এত কিছুর মধ্যেও আলো ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে পাঁচটি উইকেটে পেয়েছেন এ অলরাউন্ডার। এর মধ্য দিয়ে টেস্টে ১৯তম বার পাঁচ উইকেট তুলে নেন সাকিব।
শেষ বিকেলে ১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নেমেই যেন খেই হারায় টাইগারা। দিন শেষে ৩৪ রান তুলতেই নেই চার উইকেট।
চট্টগ্রাম টেস্টে ১৩৩ রান করা তামিম ইকবাল ঢাকায় এসে যেন ব্যাটিং ভুলে গেছেন। মিরপুরের দুই ইনিংসে রানের খাতাই খুলতে পারেনি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে স্লিপে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও শূন্য রানে আউট হন তিনি। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো একই ম্যাচে জোড়া ডাকের দেখা পেলেন তামিম।
নাজমুল হোসেন শান্ত নেমেই যেন সাজ ঘরে যাওয়ার তাড়া ছিলো। দলীয় ১৯ আর নিজের রানের খাতায় দুই রান যোগ করেই ফেরেন শান্ত। পয়েন্ট থেকে সরাসরি থ্রোয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে উইকেটটি শান্তর উইকেটটি নেন প্রবীণ জয়াবিক্রম।
রানে ফিরবেন মুমিনুল এ আশা ছিলো সবার। ধরবেন দলের হাল কিন্তু পারলেন না। রানের খাতা না খুলেই তামিমের সঙ্গি হলেন অধিনায়ক। ইনিংসের নবম ওভারে রাজিথার বলে কট বিহাইন্ড হন মুমিনুল।
মাহমুদুল হাসান জয়ও সমর্থক করলেন নিরাশ।তার পরের ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন আসিথা ফার্নান্দো। দলীয় ২৩ রানে চার উইকেটে হারানো দলের হাল ধরলেন মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। এ জুটি দিন শেষ করে চার উইকেটে ৩৪ রানে।
এর আগে আগের দিন করা ৫ উইকেটে ২৮২ রানের সঙ্গে আজ ৬৫.১ ওভার ব্যাটিং করে ২২৪ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা। ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। দীর্ঘ চার বছর পর সেঞ্চুরি হাঁকানো দিনেশ চান্দিমাল করেন ১২৪ রান।
বল হাতে সাকিব ৯৬ রানে ৫ ও এবাদত নেন ১৪৮ রানে ৪টি উইকেট। ঘরের মাঠে টেস্টে এটিই এবাদতের সেরা বোলিং ফিগার। অন্যদিকে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টন টেস্টের পর এবারই প্রথম ফাইফার পেলেন সাকিব। সময়ের হিসেবে সাকিবের দুই ফাইফারের মধ্যে এটিই দীর্ঘতম বিরতি।
বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৯ বার পাঁচ উইকেট তুলে নেন সাকিব।