পাকিস্তানি রুপির আবারো দর পতন হয়েছে।এক ডলারের বিপরীতে গুনতে হচ্ছে দুইশত রুপি।এদিকে, রুপির এই দরপতনের কিছুক্ষণের মধ্যেই শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের প্রধামন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বৈঠকে তিনি দেশের বর্তমান পণ্য আমদানি-রফতানির হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। পাশাপাশি, বিলাসবহুল ও অতি জরুরি নয়— এমন পণ্য আমদানির বিষয়ে সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেটির বাস্তবায়ন সম্পর্কিত প্রতিবেদনও তলব করেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে ডলারের বিপরীতে রুপির মান ছিল ১৯৮ দশমিক ৩৯; কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই মান ২০০ ছাড়িয়ে যায়।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে নিজেদের মুদ্রার এই পরিমাণ পতন দেখেনি পাকিস্তান।
চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ৬০০ কোটি ডলারের তহবিলের জন্য যখন পাকিস্তানের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে তদবির করছে, সে সময়েই ঘটল মুদ্রার এই দরপতন।
এদিকে, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল আইএমএফের মিশন প্রধানের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেছেন বৃহস্পতিবার। বৈঠকে তিনি জানান, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী ‘কঠোর নীতি’ গ্রহণে প্রস্তুত পাকিস্তানের সরকার।
২০১৮ সাল থেকেই অর্থনৈতিক সংকট চলছে পাকিস্তানে। করোনা মহামারিতে তা হয়েছে আরও তীব্র। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মাত্র দেড় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলার মজুত আছে।