৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    পি কে হালদারের নামে আরেক মামলা দুদকের

    আলোচিত খবর ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত।

    মামলার অপর আসামিরা হলেন- এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এমএ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার ও এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিব প্রসাদ ব্যানার্জী ও পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জি।

    মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।

    প্রসঙ্গত, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। অবশেষে শনিবার (১৪ মে) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বর্তমানে ভারতে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন প্রশান্ত কুমার হালদার।

    মঙ্গলবার (১৭ মে) তিন দিনের রিমান্ড শেষে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে তাকে হাজির করে আরও ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৪ মে) ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। মঙ্গলবার (১৭ মে) তার বিরুদ্ধে আরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কলকাতার একটি আদালত। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার। একপর্যায়ে নাম পাল্টে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পি কে হালদার নিজেকে শিবশঙ্কর হালদার নামে ভারতে পরিচয় দিতেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতীয় রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ডও সংগ্রহ করেন। তার অন্য সহযোগীরাও ভারতীয় এসব কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে সংগ্রহ করেন।

    আলোচিত খবর/এসএইচ

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর