আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় চলমান আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের অনুরোধে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের অনুরোধে তিনি পদত্যাগে রাজি হয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলম্বো পেজ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে আগামী সোমবার তার পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন। তিনি পদত্যাগ করলেই বর্তমান মন্ত্রীসভাও ভেঙে যাবে। তার ওই ঘোষণার পরের সপ্তাহে মন্ত্রিসভার রদবদল করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ছোট ভাই প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে অনুরোধ করেন। তার অনুরোধেই নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মাহিন্দা রাজাপাকসে।
শ্রীলঙ্কাজুড়ে চলমান চরম বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দেশব্যাপী দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (৬ মে) প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশব্যাপী ধর্মঘট ও ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে এ জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন।
শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। নির্বাচনকে সামনে রেখে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। এটাকে তখনকার সরকার নির্বাচনী কৌশল হিসেবেই ধরে নিয়েছিল।
গত ২০ বছরের মধ্যে ১২ বছরই শ্রীলঙ্কার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেছেন রাজাপাকসে পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা স্বৈরতন্ত্রের তকমা পেয়েছেন। এর আগে তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তার অন্য দুই ভাই দেশটির বন্দর ও কৃষি ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছেন। এভাবে পাকসে পরিবারের কয়েক ডজন সদস্য সরকারের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, রাজাপাকসে ক্ষমতা গ্রহণের আগেও শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক সংকটে ছিল। তারপরও নতুন সরকার বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের জন্য চীনের কাছ থেকে ঋণ নেয়। সব মিলিয়ে ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির বৈদেশিক ঋণ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আলোচিত খবর/এসএইচ