দক্ষিণ আফ্রিকায় ঝড়ের তাণ্ডব এবং সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩ জনে। আরও অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন । ৪০ হাজারের মতো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন । এর মাঝে শনিবার ফের বৃষ্টি হওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির হয়েছে দেশটিতে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি ভাল না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। দেশটির জরুরি সেবা বিভাগ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কোয়াজুলু-নাটাল (কেজিএন) প্রদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে চার হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
আফ্রিকার ব্যস্ততম বন্দর নগরি দুর্বানে বহু ঘরবাড়ি, স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। একজন প্রাদেশিক কর্মকর্তা ধারণা দিয়েছেন যে, শুধু অবকাঠামো খাতে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।
কেজিএন রাজ্যের প্রধান সিহলে জিকালালা জানান, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩ জনে। ৬৩ জনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। জিকালালা এক টেলিভিশন বক্তব্যে বলেছেন, ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগে পড়েছে তার রাজ্য।
দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কার্যালয় থেকে শনিবার জানানো হয়, দুর্যোগের কারণে প্রেসিডেন্টের সৌদি আরব সফর বিলম্ব হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের কথাও জানায় কর্তৃপক্ষ। এর আগে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এই দুর্যোগকে তিনি ‘ব্যাপক আকারের বিপর্যয়’ বলে তুলে ধরেন। রামাফোসা বলেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনের অংশ।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি