বাংলা নববর্ষকে উপভোগ করতে ১৪ এপ্রিল রাজধানীতে রিকশায় চড়ে ঘুরে বেড়ালেন জয়া আহসান। অথচ কেউ তাকে চিনলই না।সে কথা জানিয়েছেন জয়া নিজেই।
মূলত ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের ‘ফেরেশতে’ সিনেমার কাজেই দিনটিকে বেছে নেন জয়া।
এক শিশুকে কোলে নিয়ে রিকশায় করে ঘুরে বেড়ান শাহবাগ, রমনার পাশের সড়ক ও চারুকলার সামনে।
রিকশায় ওই শিশু ছাড়াও জয়ার পাশে ছিলেন অভিনয়শিল্পী নিকিতা নন্দিনী শিমু।
রিকশায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জয়া।
এর সঙ্গে জানিয়েছেন তার ‘ফেরেশতে’ নামের সিনেমা নিয়ে কিছু তথ্য।
রিকশা ঘুরে বেড়ানোর একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে ক্যাপশনে জয়া লিখেছেন, ‘বাংলা ১৪২৯ সালের প্রথম দিন পুরোনো অভিজ্ঞতা নতুন করে অনুভব করার সুযোগ হলো। দিনব্যাপী কাজ করলাম সেই চারুকলা, সেই রমনার বটমূল প্রান্তরে। কত বছর পর সেখানে যাওয়া, তা–ও নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার এই বিশেষ দিনে, আহ! অদ্ভুত ভালো লাগায় আচ্ছন্ন ছিলাম পুরোটা দিন। আর এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম ও তার ইরানি ইউনিটকে। পুরো ইউনিটের সবাই মিলে আজ আমরা গায়ে জড়িয়েছিলাম বৈশাখী পোশাক। ভীষণ আনন্দে কেটেছে পুরোটা দিন। এই ইউনিটের সঙ্গে বিগত দুই সপ্তাহ ধরে কাজ করছি “ফেরেশতে” নামের চলচ্চিত্রে। ব্যস্ততার কারণে এত দিন কিছুই জানাতে পারিনি। তবে আশা রাখি, সবকিছু গুছিয়ে খুব শিগগিরই আমরা এই চলচ্চিত্রের বিস্তারিত সব তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। স্বপ্ন পূরণের বছর হোক ১৪২৯। সবাইকে আবারও নববর্ষের রঙিন শুভেচ্ছা।’
দুই বাংলার সুপরিচিত এ অভিনেত্রীকে কেন চিনতে পারল না লোকজন? সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন জয়া নিজেই।
এক গণমাধ্যমকে জয়া বলেন, ‘ক্যামোফ্লেজ করে ঘুরছিলাম তো, আমার গায়ের রং ডার্ক করা হয়েছিল। কাপড়চোপড়ও অতিসাধারণ। একটা শিশু কোলে ছিল বলে লোকজন খুব একটা বুঝতেও পারেনি। খুব মজাই লাগছিল আসলে, সেটা খুব উপভোগ করছিলাম। অনেক মিডিয়ার ক্যামেরা ছিল, তারাও আমাকে চিনতে পারেনি। রিকশায় চড়তেও দারুণ লাগছিল, রোদটা একটু কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু আনন্দটা এত বেশি ছিল যে রোদটা গায়ে মাখছিলাম না।’