বাবার স্বপ্ন ছিলো পুলিশের পোশাকে দেখবে ছেলেকে। কিন্তু স্কুলের গন্ডি পেরোনোর আগেই পিতার মৃত্যুতে সংসারের হাল ধরতে, ধরতে হয় রিকসার হ্যান্ডেল।
কিন্তু তাতেরও দমাতে পারেনি কঠোর পরিশ্রমী ও উদ্যোমী তরুণ ময়নুর রহমানকে। অবশেষে মাত্র ১৫০ টাকা খরচ করে নিজ যোগ্যতা ও মেধায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।এ গল্প যেনো সিনেমাকেও হার মানায়, বাবার মৃত্যুর পর নবম শ্রেণির ছাত্র ময়নুর সংসারের হাল ধরতে বাদাম ও ভাজাপোড়া বিক্রি শুরু করে। এতেও সংসারে স্বচ্ছলতা না আসায় চট্টগ্রাম শহরে রিকশা চালানো শরু করেন।
এই আয় দিয়ে নিজের ও বোনের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চলাতেন। অতীতের এম কষ্টের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বার বার কান্নয় ভেঙ্গে পড়েন ময়নুর।বর্তমানে রাজশাহী বাগমারা ভবানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভূগোল বিভাগের অনার্সের ছাত্র ময়নুল। সরকারে স্বচ্ছ নিয়োগ নীতিতে চাকরি পেয়ে রাজশাহী পুলিশ সুপার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ময়নুরের পরিবার।
নিয়োগে নানান অনিয়ম দূর ও তদ্বির বন্ধ হওয়ার কারণে সাধারণ অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবীদের পুলিশে চাকরির সুযোগ বেড়েছে বলে জানান, রাজশাহী পুলিশ সুপার বিএম মাসুদ হোসেন। এর জন্য তিনি আইজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাজশাহী জেলায় এবছর ১০ হাজার তরুণ তরুণী পুলিশে আবেদন করেন। এরদের মধ্যে ৭২জন তরুণ তরুনণ পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি পান। যাদের অধিকাংশই অস্বচল পরিবার থেকে আসা। এ ধারা অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।