রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। পাবনার ঈশ্বরদীতে একদিনে চারটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ- পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান জানান, চররূপপুর সরদাপাড়ায় শারমিন খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূ ঘরের আঁড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি ওই এলাকার সোহাগ হোসেনের স্ত্রী। পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে পুলিশ ধারণা করছে।
ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন জানান, শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় মার্কেটের পেছনের একটি ঘরে মানসিক ভারসাম্যহীন আমিরুল ইসলাম আমিন (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহের শরীরে পোকা লেগে গিয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর তিনি একাই সেখানে থাকতেন। দুটি ছেলে থাকলেও কেউ খোঁজখবর নিত না তার।
এদিকে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে রকেট মেইলের ছাদ থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ আলী চৌধুরী জানান, যাত্রীদের কাছে খবর পেয়ে ইঞ্জিনের পেছনের বগির ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তির এখনও পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া তার মৃত্যুর কারণও জানতে পারেনি পুলিশ।
এছাড়া সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচরা গ্রামে আছিয়া খাতুন (২৭) নামে আরেক গৃহবধূর মরদেহ রোববার রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ উদ্ধার করে। তিনি ওই এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
এসআই মুকুল মিঞা জানান, আছিয়া দীর্ঘদিন ধরে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিক কষ্ট সইতে না পেরে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ সোমবার (১১ এপ্রিল) সকালে জানান, সবকটি মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য রোববার রাতেই পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মৃতদেহগুলো পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।