নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন জনগণ কার পক্ষে ছিল আমি জানি, কি হয়েছে তাও জানি। অনেক কিছুই আমি জানি কিন্তু বলতে পারি না। কারণ দল করি তো, সরাসরি বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।শনিবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি কমিটির রাজনীতি করি না। আমি রাজনীতি বলতে বুঝি, সত্য কথা বলার যার সাহস আছে। রাজনীতি তারই করা উচিত যে কোনো অবস্থায় সত্য কথা বলার সৎ সাহস রাখে। যাদের বাইরে এক রূপ আর ভেতরে আরেক রূপ তাদের রাজনীতি করা উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, কমিটি করতে গেলে তেলবাজি চলে। কমিটি করতে গেলে পদ বাণিজ্য চলে। ওই পদ বাণিজ্য আর তেলবাজি করে রাজনীতি আমার পক্ষে সম্ভব নয়। শেখ হাসিনাকে আজকে আওয়ামী লীগের দরকার নয় তাকে বাংলাদেশের মানুষের দরকার। শেখ হাসিনাকে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আগামীতে শেখ হাসিনার সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে বিএনপি আর ক্ষমতায় আসবে না।
‘পদ-পদবি চেয়ারম্যান-মেম্বার কাউন্সিলর বড় কথা নয়, মানুষের ভালোবাসাই বড়। এখন তো এত আওয়ামী লীগের সংখ্যা হয়ে গেছে যে, মাঝে মধ্যে মনে হয় আমি আওয়ামী লীগ করি না। চারদিকে আওয়ামী লীগের ঠেলাঠেলি। ধাক্কাে এলে বোঝা যাবে কয়জন থাকে আর কয়জন থাকে না’ যোগ করেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, যারা নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে খেলছেন তাদের বলতে চাই, আমরা কিন্তু ছোটবেলার খেলোয়াড়। আপনাদের সঙ্গে খেলার জন্য আমাদের মায়েরাই যথেষ্ট। একটা কথাই বলতে চাই গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র হবে, কঠিন ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রে রাজপথে আমার রক্ত থাকতে পারে, আমরা তো ২০০১ সালের ১৬ জুনে মারাই গেছি। স্বাধীনতার পর থেকে এদেশে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে তার চেয়ে বড় ষড়যন্ত্র এখন বিদ্যমান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. জুয়েল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।